দেশের স্বার্থে অতীত ভুলে একযোগে কাজ করতে হবে: তারেক রহমান

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমি শারীরিকভাবে সম্পূর্নরুপে এখনো সু¯’ নয়। কিছু সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। আমার দেশে ফেরা শারিরীক সু¯’্যতার সাথে রিলেটেড। সবচেয়ে বড় কথা চিকিৎসার জন্য বিদেশ আসবো এটা আমি জানতাম না। এটা যিনি জানতেন যিনি পাঠিয়েছেন আমাকে তার কাছ থেকেই জানতে হবে। তার নির্দেশ যেদিন হবে সেদিন ইনশাল্লাহ দেশে ফিরবো। আমার নিজের প্রতি আমার পরিবারের প্রতি গত ৫/৬ বছরে যে শারিরীক এবং মানসিক নির্যাতন গিয়েছে দেশের স্বার্থে দেশের মানুষের স্বার্থে আমি বা আমার পরিবার যদি সেগুলো বুকের মধ্যে, বুকের গভীরে চেপে রাখতে পারি, তাহলে আমি বিশ্বাস করি আমার নেতা-কর্মীদেরও সে শক্তি আছে, দেশের স্বার্থে দেশের মানুষের স্বার্থে দেশকে এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে অতীতকে ভুলে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন দেশকে সে শক্তি তাদেরও আছে। তারাও সে কষ্ট সেই ব্যাথা বুকের মধ্যে নিশ্চয় চেপে রাখতে পারবে। সৌদি বাদশার রাজকীয় মেহমান হিসেবে ওমরাহ হজ্ব পালন শেষে গত শনিবার সৌদি আরবের জেদ্দা বিএনপির এক প্রতিনিধি সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির সভাপতি আহম্মেদ আলী মুকিব। এসময় তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও একমাত্র কন্যা জায়মা রহমান। সূত্র: বাংলা ভিশন।

তারেক রহমান বলেন, গত ৪০/৪২ বছরে যা ইতিহাসে দেখা যায়নি বাংলাদেশের, আইনশৃঙ্খলার ইতিহাসে, যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, সরাসরি আপনারাও দেখেছেন টিভিতে সরাসরি গুলি করে মানুষ মারছে। এধরনের রিপোর্টগুলো দেখলে দেখা যা”েছ দেশে আজকে আইনশৃঙ্খলা মারাত্মক, দেশের মানবাধিকার মারাত্মক। এই অব¯’া বা পরি¯ি’তি কোথায় গিয়ে পৌছেছে সেটি নিয়ে দেশের মানুষ যেমন আতঙ্কিত সেটি নিয়ে বিদেশী মানুষগুলো আতঙ্কিত, বিদেশী অর্গানাইজেশনগুলোও। আজকে বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় এসেছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তাদের বিচার ব্যব¯’া নিয়েও বাংলাদেশের মানুষ আজকে আতঙ্কিত। চিন্তিত। কারণ বিচার ব্যব¯’াকেও প্রায় পুরোপুরিভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। আজকে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোন সং¯’া এভাবে কখনোই বলেনি, কোন সরকার কখনোই বলে নাই যে সরকার বা সরকারের উ”চ পদ¯’ ব্যক্তিরা দুর্নীতির সাথে জড়িত। এই বর্তমান সরকারের সময় ওর্য়াল্ড ব্যাংক প্রমান দিয়ে বলেছে, তারা সরকারের উ”চ পর্যায় থেকে আরম্ভ কওে পদ্মা ব্রিজের দুর্নীতির সাথে জড়িত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান যে সরকার আছে, যে স্বৈরাচারী সরকার আছে, এরা তো প্রথম থেকে বিচার বিচার করে যা”েছ। বিচার হয়তো তারা সত্য হোক মিথ্যা হোক বিচার হয়তো যেটিই হোক তারা করেছে বা করছে। কিš‘ সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা যদি নিজেকে প্রশ্ন করি যে তারা তাদের সেইসব তথাকথিত বিচার করেছে গত ৪বছরে। দেশ কি পেয়েছে? দেশের মানুষ কি পেয়েছে? দেশের মানুষ উপকৃত হয়েছে এতে? দেশের মানুষ উপকৃত হয়নি।

তিনি বলেন, দেশকে সঠিকভাবে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য, দেশকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার জন্য আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আমরা কি করবো? যুদ্ধ করবো নাকি আমরা দেশকে গড়ে তুলবো? পরিশ্রম করবো কাজ করবো। সঠিক পথে দেশকে এগিয়ে নেবো।

You may also like...

Read previous post:
সপ্তম বর্ষে কলঙ্কিত এক-এগারো

আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠা সন্ত্রাস পরবর্তী বাংলদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের পঞ্জিকায় সর্বশেষ সেনা-হস্তক্ষেপের কলঙ্কিত দিন তথা কথিত এক-এগারোর ৭ম বর্ষপূতি আজ। ২০০৭...

Close