প্রথম আলোতে বিড়ালের আগে ‘মোহাম্মদ’ যোগ করার কারণে মুসলমানদের বিক্ষোভ নিয়ে যারা বেজায় বিরক্ত ছিল, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে সোচ্চার ছিল, দেশটা ১৪০০ বছর পেছনে চলে যাচ্ছে বলে আক্ষেপ করছিলো, তারাই আজ সেই একই পত্রিকায় একজন বাবুর্চি মুক্তিযোদ্ধার কার্টুন চরিত্র প্রকাশের কারনে প্রথম আলো বন্ধ করে দেবার, মতিউর রহমানকে বিচার করার জন্য হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। সেক্যুলারদের মধ্যেও কাঠ মোল্লা আছে, এইগুলা বরং আরো বেশি টাউট এবং ধান্দাবাজ।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রান্না করার বাবুর্চি কী ছিলা না? সেটা কী কোন অসম্মানের বিষয়? মুক্তিযোদ্ধাদের সবাই কী বন্দুক হাতে যুদ্ধ করেছে? যারা চিকিৎসক ছিলেন, কুক ছিলেন তারা কেন বন্দুক হাতে যুদ্ধ করার মিথ্যা গল্প বলতে যাবেন?
কিন্তু সেক্যুলার ধান্দাবাজ মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ীদের তো ব্যবসা করে খেতে হবে। তাই, বাবুর্চিকেও এখন বন্দুক হাতে যুদ্ধ করা সেনা বানাতে হবে। তা নাহলে তাদের দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা হবে।যারা 71 এ বন্দুক ধরে নাই বরং পাকিস্তানের মাটিতে পাকিদের খাওয়া খেয়েছে_লাইব্রেরিতে বসে ঠ্যাং এর উপর ঠ্যাং তুলে বই পড়েছে,কিংবা ঢাকায় বসে পাকিদের নিরাপত্তা বলয়ে থেকে তাদের ভাতা খেয়েছে কিংবা কলকাতার হাটে মাঠে ঘাটে হোটেলে মোটেলে বসে মাতলামি করেছে___
তাদেরতো নিজেদের শরীরের সুবিধাবাদী দুর্গন্ধটা সরিয়ে রণাঙ্গনের অস্ত্রধারী মুক্তিযোদ্ধার তকমা লাগানোর খায়েশ জাগবেই..!! তাই এরা সবকিছুতেই এখন অস্ত্রবাজির গল্প টেনে আনতে চাইবেই..!!
71 এ পাকি ভাতা খেয়ে পাকিদের সঙ্গে “মিউচুয়াল যুদ্ধ” করা হালের চেতনাবাজদের এটা আরেক ভণ্ডামি..!! এই উর্দু লীগের ভন্ড জারজগুলো মুক্তিযুদ্ধকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করছে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য..
আহ! মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা! এই সেক্যুলাররাই দেখবেন দেশের সেরা মুক্তিযোদ্ধাদের ‘রাজাকার’ গালি দেয়; অপমান করে। তখন কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা হয় না।