প্রহসনের নির্বাচনে যে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো রাতে আওয়ামী লীগের হয়ে ব্যালট বাক্স ভরেছে তারা এখন বাধাহীন হয়ে উঠেছে।
আওয়ামী লীগেরও নৈতিক শক্তি নাই এই বাহিনীগুলোর উপরে নৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার। ইদানিং কালে পুলিশের বড় কর্তাদের নামে বীভৎস সব অভিযোগ সামনে আসছে। সেমন্তীকে ধর্ষণ আর আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার পিছনেও আছে নীলফামারীতে কর্মরত এনএসআই কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলামের ছেলে ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভাতিজা আবির আহমেদ। এই রাষ্ট্রীয় বাহিনীই শুধু নয় তাদের ছেলেপিলে ভাই ভাতিজারাও দুর্বিনীত এবং বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কারণ তারা জানে তাদের কিছুই হবেনা।
সেমন্তীর বাবা যখন অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলো বগুড়া পুলিশের কাছে, তখন তাদের পেশাগত সাথীদের ছেলে ভাতিজার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সেমন্তীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে। ফেসবুকে ভাইরাল না হলে এই ঘটনা চাপা পরে যেত।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তীর কথা লক্ষ্য করেন। তিনি বলেছেন, “সেমন্তির বাবা প্রথমে শাহরিয়ার অন্তর নামে একজনের নাম বলেছিলেন; তিন দিন পর আবিরের নাম বলেছেন। পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনা আছে, আত্মহত্যার সহযোগিতার মামলা নিতে হলে প্রত্যক্ষ প্রমাণ থাকতে হবে। আসলে এ ব্যাপারে তদন্তে কিছু পাওয়া যাবে না।”
এই সনাতন চক্রবর্তীই আসলে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। ভিকটিমের পরিবার দুইবার দুই নাম বললে সনাতন চক্রবর্তীর সমস্যা কোথায়? তার কর্তব্য অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করা। সে তদন্তের আগেই বলে দিচ্ছে তদন্ত করে কিছু পাওয়া যাবেনা। সনাতন চক্রবর্তীদের প্রশ্রয়ে ক্ষমতার ছাতার নিচে থাকা অপরাধীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।