আগের পর্বে কোরানের ইডিয়টিক দাবিগুলোর কয়েকটা উদাহরণ দিয়েছিলাম। মুমিনদের রিয়েকশন দেখে মনে হলো এমন আয়না আরো দেখানো উচিত। এ পর্বে আরো কিছু নির্বোধের মত দাবি দেখবো আমরা। মুসলিমরা এমন হাস্যকর দাবিওয়ালা বইকে যখন শ্রেষ্ঠ কেতাব দাবি করে তখন মানুষের পক্ষে হাসি থামিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে যায়।
১) উল্কাপাত দিয়ে আল্লাহ শয়তানকে তাড়ান!
নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি। এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে। ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়। ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি। তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।
কুরআন ৩৭ঃ ৬-১০
আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুসজ্জত করেছি; সেগুলোকে শয়তানদের জন্যে ক্ষেপণাস্ত্রবৎ করেছি এবং প্রস্তুত করে রেখেছি তাদের জন্যে জলন্ত অগ্নির শাস্তি।
কুরআন ৬৭ঃ৫
আমরা জানি উল্কাপিণ্ড হচ্ছে ছোট ছোট গ্রহাণু যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে ঘর্ষণের কারণে পুড়ে যায়। নাসার মতে প্রতিদিন প্রায় ৪৫ টন উল্কাপিণ্ড পৃথিবীতে প্রবেশ করে, যাদের অধিকাংশই বায়ুমণ্ডলে জ্বলে শেষ হয়ে যায়। আল্লাহর উচিত শয়তান তাড়ানোর জন্যে স্টেনগান ব্যবহার করা।
২) সূর্য ডোবে কাদাযুক্ত জলাশয়ে!
অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন।
কুরআন ১৮ঃ৮৬
অবশেষে তিনি যখন সূর্যের উদয়াচলে পৌছলেন, তখন তিনি তাকে এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদয় হতে দেখলেন, যাদের জন্যে সূর্যতাপ থেকে আত্নরক্ষার কোন আড়াল আমি সৃষ্টি করিনি।
কুরআন ১৮ঃ৯০
১৪০০ বছর আগেও মানুষ জানতো সূর্য একটা নক্ষত্র যেটা পৃথিবীর চেয়ে বড়, এবং আলাদা। গ্রীস, রোম, ইজিপ্টের দার্শনিকরা জানতেন সূর্য আলাদা একটা বস্তু। আল্লাহ জানতেন না, আল্লাহ জানতেন সূর্য একটা অগ্নিপিণ্ড যে পঙ্কিল জলাশয়ে ডুবে আল্লাহর আরশের নিচে গিয়ে সেজদাহ দিয়ে বসে থাকে।
৩) পৃথিবী বিছানার মত সমতল!
জন্য পৃথিবীকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাকেও সমকক্ষ করো না। বস্তুতঃ এসব তোমরা জান।
কুরআন সুরা বাকারা ২:২২
তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে শয্যা করেছেন এবং তাতে চলার পথ করেছেন, আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি।
কুরআন সুরা ত্বা-হা ২০:৫৩
আমি পৃথিবীকে বিছিয়েছি। আমি কত সুন্দরভাবেই না বিছাতে সক্ষম।
কুরআন সুরা যারিয়া’ত ৫১:৪৮
আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন বিছানা।
কুরআন সুরা নূহ ৭১:১৯
আমি কি করিনি পৃথিবীকে বিছানা ?
কুরআন সুরা নাবা ৭৮:৬
আমি পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছি এবং তার উপর পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে প্রত্যেক বস্তু সুপরিমিতভাবে উৎপন্ন করেছি।
কুরআন সুরা হিজর ১৫:১৯
এটা নিয়ে আসলে বিস্তারিত কিছু বলার নাই। পৃথিবী যে সমতল না সেটা প্রথম দেখিয়েছিলেন এরিটোস্থেনিস, যিশুর জন্মের ২৫০০ বছর আগে। যিশুর জন্মের ৫০০ বছর পরেও আল্লাহ জানতেন না পৃথিবী গোল!
৪) বীর্য সৃষ্টি এবং নির্গত হয় মেরুদন্ড আর পাজরের মাঝে থেকে!
অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে।
সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।
এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে।
কুরআন ৮৬ঃ৫-৭
কেন ভাই? এটা তো এরিস্টটলের সময় থেকেই জানা ছিল যে বীর্য অণ্ডকোষে থাকে। আল্লাহ সব বানালেন, তিনি এটা জানবেন না?
৫) জাহাজ ভাসাতে আল্লাহ লাগে, আর্কিমিডিস না।
তোমাদের পালনকর্তা তিনিই, যিনি তোমাদের জন্যে সমুদ্রে জলযান চালনা করেন, যাতে তোমরা তার অনুগ্রহ অন্বেষন করতে পারো।
কুরআন ১৭ঃ৬৬
আর্কিমিডিস আবিষ্কার করেছিলেন পানিতে নিমজ্জিত বস্তুবতার আয়তনের সমান পরিমাণ পানি স্থানচ্যুত করবে। আল্লাহ বলছেন এইসব বাদ, আমি ভাসাই!