মুসলিমরা দাবি করে কোরানে কোনো বৈজ্ঞানিক ভুল নেই। একটা মাত্র বৈজ্ঞানিক ভুল বের করতে পারলে নাকি তারা বুঝে যাবে ইসলাম একটা মিথ্যা ধর্ম। জাকির নায়েকের মত কূপমন্ডুক লোক মঞ্চে দাঁড়িয়ে অনর্গল এসব বলে সাধারণ মুসলিমদের কাছ থেকে আর সৌদির কাছ থেকে টাকা বাগিয়ে যাচ্ছে। আসলে তারা হয়তো কোরান পড়েও দেখে নি।
মধ্যযুগে বাইবেল পড়া এবং বাইবেল জানা শুধু পাদ্রীদের জন্য এক্সক্লুসিভ ছিল। তারা বাইবেল পড়ার বিনিময়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। সাধারণ লোকেরা বাইবেল পড়তো না, তারা শুধু জানতো যাজকরা জানলেই চলবে। খ্রিষ্টধর্মের সংস্কারকরা এসে এ ব্যাপারটির অসারতা প্রমাণ করে তাদের ধর্মকে জনগণের কাছে নিয়ে এসেছেন, এ কারণেই খ্রিষ্টান ধর্মত্যাগী মানুষ অনেক সামনে এসেছে।
তবে ইসলাম নিজেকে কারো কাছে এক্সক্লুসিভ করে রাখে নি। মোল্লারা চায় ইসলাম এক্সক্লুসিভ থাক তাদের হাতে, আর না হলে তাদের পেশারই কোনো প্রয়োজন থাকবে না। জাকির নায়েক টাইপের লোকেরা এই ব্যাপারগুলোকে খুব চাতুরতার সাথে এড়িয়ে যায়।
“শায়খ” কালচার ইসলামে নতুন আসছে এখন। আগে এই জিনিস ছিল না।
ওদের চ্যালেঞ্জে ফিরে আসি।
১) আল্লাহ দাবি করে মহাবিশ্ব বানানোর আগে তার আরশ পানির উপরে ভাসছিল।
তিনিই সর্বশক্তিমান, যিনি সৃজন করিয়াছেন আসমান ও জমীনকে ছয় দিবসে আর তিনি সিংহাসনে আসীন ছিলেন যা ছিল পানির উপরে।
কুরআন ১১ঃ৭
মহাবিশ্ব বানানোর আগে তিনি পানি পাইলেন কই? মহাবিশ্বের আগে কোন মহাবিশ্ব ছিল? সে মহাবিশ্ব এলো কোত্থেকে? স্থান কালের জন্মের আগে স্থান কাল পাইলেন কই আল্লাহ?
২) ছয়দিনে মহাবিশ্ব বানানো-
নি:সন্দেহ, তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ , যিনি আসমান ও জমীন ছয় দিনে সৃষ্টি করিয়াছেন, অনন্তর সিংহাসনে সমাসীন হইয়াছেন, তিনিই দিনকে রাত্রির দ্বারা আচ্ছাদিত করেন, যাহা উহার পিছনে দৌড়াইয়া চলে এবং তিনিই চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্রসমূহকে তাহার নির্দেশাধীন করিয়াছেন।
কুরআন ৭ঃ৫৪
তোমাদের প্রতিপালক সেই আল্লাহ তিনি আকাশ ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করিয়াছেন ছয় দিবসে, তৎপর তিনি অধিষ্ঠিত হন আরশের উপর।
কুরআন ১০:৩
আবার এই মহাবিশ্বের শুরুতেই আকাশ আর ভূমণ্ডল? পৃথিবীর জন্ম তো মহাবিশ্বের জন্মের ৯ বিলিয়ন বছর পরে! আল্লাহ শুরুতেই দুইটা কিভাবে বানালেন?
৩) আগে প্রাণী পরে বায়ুমণ্ডল?
বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
কুরআন ৪১ঃ৯-১২
আগে প্রাণী বানিয়ে পরে মহাকাশ? মানে কি? অনেকে আকাশের সাত স্তর বলতে বায়ুমন্ডল বুঝানো হয়েছে বলে মনে করেন। তার মানে প্রাণী বানানোর পর বায়ুমন্ডল দিয়েছেন? প্রাণীরা শ্বাস নিলো কীভাবে?
৪) আকাশকে আটকিয়ে রেখেছেন যেন আকাশ ভেঙ্গে না পড়ে
তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, যমীনে যা কিছু আছে এবং নৌযানগুলো যা তাঁরই নির্দেশে সমুদ্রে বিচরণ করে সবই আল্লাহ তোমাদের জন্য অনুগত করে দিয়েছেন। আর তিনিই আসমানকে আটকিয়ে রেখেছেন, যাতে তাঁর অনুমতি ছাড়া তা যমীনের উপর পড়ে না যায়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি বড়ই করুণাময়, পরম দয়ালু।
কুরআন ২২ঃ৬৫
ভাই, what! আকাশ বলতে কিছু নাই। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা গ্যাস আর ধূলিকণার কারণে বিক্ষিপ্ত নীল রঙ এর প্রাচুর্যের কারণে আকাশকে একটা সলিড বস্তুর মত দেখায়। আকাশ কোনো অভেদ্য ছাদ না।
৫) আকাশে কোনো ফাটল নেই।
তারা কি তাদের উপরে আসমানের দিকে তাকায় না, কিভাবে আমি তা বানিয়েছি এবং তা সুশোভিত করেছি? আর তাতে কোন ফাটল নেই।
কুরআন ৫০ঃ৬
আকাশে ফাটল থাকবে কেন ভাই? আকাশ কি কাঁচের তৈরি? না প্লেক্সি গ্লাস?
(চলবে)