আলোচনা শেষে তিনি বললেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা কেমন? আমি বললাম, আলাদা করে হিন্দুদের অবস্থা জানতে চাইছেন কেন? বাংলাদেশের মানুষের অবস্থা কেমন সেটা জানতে চাইলে একটা কথা ছিলো। উনি বললেন, না এইযে হিন্দুদের মন্দির ভাঙ্গে আবার হিন্দুদের তাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ থেকে, সম্পদ কেড়ে নেয়া হয়। আমি বললাম, দেখেন এসব ঘটনা ঘটে অস্বীকার করবে না কেউ।
আবার এর চাইতে ভয়ংকর ঘটনা ঘটে, আমি উদাহরণ দেই। আপনি জানেন কি দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশ সবচেয়ে বেশী রিফিউজি হওয়ার জন্য ইউরোপে এপ্লাই করে? বাংলাদেশ। ইন ফ্যাক্ট আমি নিজেও রিফিউজি। যেই দেশে যুদ্ধ চলছেনা, সেই দেশ থেকে কেন এতো রিফিউজি হবে? প্রশ্ন মনে জাগেনা? আপনি জানেন বাংলাদেশে যখন তখন যাকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের বেশীরভাগই কখনো ফিরে আসেনা, যারা ফিরে আসে তারা অজানা ভয়ে মুখ খোলে না। আপনি জানেন আপনি টাকা খরচ করলেই যাকে ইচ্ছা খুন করাতে পারবেন সরকারি বাহিনী ব্যবহার করে?
নারায়নগঞ্জে একজনকে খুনের কন্ট্র্যাক্ট দেয়া হয়েছিলো আওয়ামী লীগ নেতার জামাই এক র্যাব কমান্ডারকে। সে কন্ট্র্যাক্ট নেয়া একজনকে তো খুন করেই, সাথে ওই খুনের কাজ দেখে ফেলায় আরো ছয়জনকে মেরে ফেলে কাস্টমারকে বোনাস সার্ভিস দিয়ে লাশগুলো শীতলক্ষ্যায় ভাসিয়ে দিয়েছিলো।
আপনি কি জানেন বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনা, কথা বলতে পারেনা, কার্টুন আকতে পারেনা, পত্রিকায় নিউজ করতে পারেনা, বাদ দেন পলিটিক্যাল আন্দোলনের কথা। জামায়তে ইসলামীর লোকেরা একটা ব্যাংক করেছিলো ইসলামী ব্যাংক, সেই ব্যাংক দখল করে নেয়া হয়েছে। জানেন এইটা? তো বলেন সম্পদ কার দখল হচ্ছেনা? বাংলাদেশে কার *য়া কে মারে ধুলায় অন্ধকার। ভদ্রলোক মনে হয় একটু হোচট খাইলেন আমার ভাষা শুনে। আমি বলতে থাকলাম, এইটা কেন হয় জানেন? কারণ আমাদের ন্যুনতম নাগরিক অধিকার নাই, নাগরিক হিসেবে আমরা আমাদের ন্যুনতম হিস্যা দাবী করতে পারিনা। রাষ্ট্রই গঠন করতে পারি নাই ঠিকঠাক তাইলে কীভাবে আপনি দুর্বলকে রক্ষা করবেন?
আমি ভাবি, এই দুনিয়ায় মানুষে বাচবে কীভাবে? নিজের ধর্ম, নিজের ভাষা, নিজের জাতি, নিজের দেশ এর কোন দুর্গন্ধ নাই। নিজের ধর্মের বাইরে সবই শয়তান শুধু তারা নিজেরাই ভালো। সারা দুনিয়া থেকেই মনে হয় বিবেক অন্তর্হিত হয়েছে। এই দুনিয়ায় বাইচ্যা থাইকা লাভ কী বলেন।