মেজর রশিদের নেতৃত্বে সৈন্যরা আমিন আহমেদ চৌধুরী এবং কর্নেল শাফায়াত জামিলকে নিয়ে যায় মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের বাড়িতে। জেনারেল জিয়া তখন সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান।
মেজর জিয়া নাকি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের গুপ্তচর ছিলেন , যা জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে সরকার দলীয় এমপিরা প্রতিদিনই বলছেন ।
জিয়াকে নিয়ে কথা না বললে যেন তাদের পেটের ভাত হজম্ম হয়না , পেট খারাপ হয়ে যায় । ।
যারা amar মতো মুক্তমনা তাদেরকে বলছি ,,
বঙ্গবন্ধু যদি ২৫ মার্চ গ্রেফতার না হতেন তাহলে ঘোষনাপত্র তিনি-ই পাঠ করতেন ।
কিন্তু তিনি যখন জেলে তখন এই সংগ্রামে হাল ধরার কে ছিল ? কে তখন বঙ্গবন্ধুর দায়িত্ব পালন করার জন্য এগিয়ে এসে ছিল ??
মেজর জিয়া তখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন , কিন্তু বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হোয়ার পর নিজ জন্মভূমির প্রতি মায়ার টানে তিনি পাকিস্তানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্রোহ করেন , বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র পাঠ করেন । ।
একবার চিন্তা করুন তো , যদি বাংলাদেশ স্বাধীন না হত তখন মেজর জিয়ার কী হত ??
তাকে পাকিস্তানিরা বিদ্রোহী বলে হত্যা করতো । কারন তিনি পাকিস্তানের সেনাবাহিনী হয়েও বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন ।
অতচ তার নামে মিথ্যা কুৎসা রটানো হচ্ছে । ।
দেশ স্বাধীন হোয়ার পরেও এই জিয়ার অবদান কতটুকি তা উইকিপেডিয়ায় ঢুঁ মারলেই দেখতে পারবেন ।
যার যতটুকু প্রাপ্য তাকে তার প্রাপ্য সম্মানটুকুই দিন ।
একই সমস্যা লক্ষ্য করা যায় বিএনপির মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ।
জিয়া ছাড়া আর কারো অবদান তাদের চোখে ভাসেনা । ।
আর সবাই উপেক্ষা করে আমার প্রিয় নেতা , স্বাধীনতার স্বপ্ন দ্রষ্টা মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কে ।
তাকে নিয়ে কোন বিতর্কের সুযোগ নেই ।