গত সপ্তাহে আল জাজিরার ‘হেড টু হেড’ শোতে সাইদা মুনা তাসনিম সরকারের সাফাই গাইতে গিয়ে বলেন, তাসনিম খলিল তো এই সরকারের আমলে দেশ ছাড়েন নাই।যখন অ্যাঙ্কর মেহদি হাসান মুনা তাসনিমকে প্রশ্ন করেন কেন খলিলকে দেশ ছাড়তে হয়েছে, তখন মুনা তাসনিম বলেন, ‘আই হ্যাভ নো আইডিয়া’।মানে, এ ব্যাপারে আমার কোন ধারণাই নাই।
আসেন আমরা বাংলাদেশের তথাকথিত এই দক্ষ ডিপ্লোম্যাটের আলাপটা আবারো পর্যালোচনা করি।
খলিল কবে বাংলাদেশ ছেড়েছে সেটা কি ঐ আলাপে প্রাসঙ্গিক? খলিল কি সেখানে নিজের কেইস আলোচনা করতে গেছে? নাকি বাংলাদেশের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসাবে মতামত দিতে গেছে? সে কি কোথাও বলেছে যে, সে আওয়ামী লীগের আমলে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে? তাহলে “কার আমলে” সে দেশ ছেড়েছে এই প্রসঙ্গ মুনা তাসনিম আনে কেন?
তাসনিম খলিলকে ১/১১ সরকারের আমলে ২০০৭-এর মে মাসে দেশের বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা, যার নাম আমরা সবাই জানি, (নেটে সার্চ দিলেই পাওয়া যাবে) তারা আটক করে। ওদের টর্চার চেম্বার থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে প্রায় এক মাস সে তার পরিবারসহ আত্মগোপনে ছিলো। একই বছর জুন মাসে সে সুইডেন যায়। এই পুরা ঘটনাটার পাবলিক রেকর্ড আছে। ২০০৮-এ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ থেকে খলিলের জবানবন্দী পাবলিশ হয়েছে, সে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ এইটা নিয়ে Surviving torture in Bangladesh শিরোনামে কলামও লিখেছে।
সেই সময় খলিলের কেইস নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া ডিরেক্টর ব্র্যাড অ্যাডামসের মিটিং হয় ফারুক সোবহানের সাথে। সেই মিটিংটা অর্গানাইজ করে মুনা তাসনিম। আর আজকে সে বলে, “আই হ্যাভ নো আইডিয়া!” এতো দুর্বল স্মৃতি শক্তি নিয়ে পশ্চিমা দেশে রাষ্ট্রদদূতের চাকরি করা যায় সেটা জানা ছিলোনা?
আওয়ামী লীগের আমলে কি সাংবাদিকরা দেশছাড়া হয়েছে। স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস করা ওলিউল্লাহ নোমান, মাহমুদুর রহমানকে দেশ ছাড়তে হয়েছে।