বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় দূর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদেরা, রাষ্ট্রীয় ব্যাংক আর জনগণের সম্পদ লুটেরা এবং সেরা মিথ্যাবাদীরাও তাদের ধর্মের সমালোচনা সহ্য করতে পারেনা। কারণ, এই ধর্মই তাদের দূর্নীতি, চুরি আর মিথ্যাচারের প্রধান হাতিয়ার। এই ধর্মকে বেঁচেই দূর্নীতি, চুরি আর মিথ্যাচারের রাজনীতি করা যতোটা সহজ, অন্য কোনো ভাবে ততোটা সহজ নয়। তাই ধর্মকেই রক্ষা করতে হবে যে কোনো মূল্যে, আর ধর্মবিশ্বাসী জনগণকে রাখতে হবে ধর্মীয় অনুভূতির বড়ি খাইয়ে অন্ধ করে। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা, কিংবা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮- ধর্মের নামে বদমাইশি রাজনীতির সংস্কৃতিতে ধর্মব্যবসা পাকাপোক্ত করারই ধারাবাহিকতা।
এই ২০১৮ সালে কোনো শিক্ষিত আর সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আদিম ধর্মান্ধতা আর কুসংস্কারকে রক্ষা করার জন্য আইন প্রণয়ন করেনা। তাদের সকল আইন জনগণকে রক্ষা, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আর স্বাধীনতা রক্ষার পক্ষেই প্রণিত হয়। তারা রাষ্ট্র আর সংবিধান থেকে বাতিল ধর্মকে বর্জন করেছে আরো শত বছর আগেই।
একবার ভাবুন,- যে দেশে মানুষ দুবেলা পেট ভরে খেতে পায়না; যে দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা কোটিরও উপরে; যে দেশে বস্তিতে বেঁচে থাকার জন্যই একজন শ্রমিক সারাদিন হাঁড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে; যে দেশে এখনো খুন, ধর্ষণ আর দূর্নীতির বিচার নিশ্চিত হয়নি; সে দেশে জনগণের সামাজিক নিরাপত্তা আর মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রয়োগ না করে প্রতিনিয়ত প্রয়োগ করা হয় মধ্যযুগীয় বর্বর ধর্মকে সুরক্ষা করার আইন। চোরের দেশে ধর্ম এমনই এক মধু। ধর্মের নামে এই সভ্য সময়েও কতো সহজে কোটি কোটি মানুষকে অন্ধ করে রাখা যাচ্ছে। মানুষ তাদের চোখ আর মুখ বেঁধে রাখার প্রতিবাদও করছে না!!!