নিরাপদ সড়ক চাই’ দাবিতে রাজপথে নামা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরকে প্রথম থেকেই হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল দেশের মুরতাদ সরকার ও তার রক্ষী পুলিশবাহিনী! শিক্ষার্থীদের রক্তও ঝরিয়েছে মাঝে মাঝে! কিন্তু, শনিবার ও রবিবারে ঢাকাকে রণক্ষেত্রে পরিণত করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও পুলিশ। শিক্ষার্থীদের উপর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে একযোগে হামলা চালায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা। আন্দোলন থামানোর জন্য কেন পুলিশের বৈঠকে ছাত্রলীগকে সাথে রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তা বুঝতে বাকি রইলো না। ছাত্রলীগের সদস্যসরা রাম দা, পিস্তলসহ আরো অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত ৪জন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আরো তথ্য আছে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের ভেতরে ৪ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর গুম করে ফেলার। আর, আহত শিক্ষার্থীর সংখ্যা অসংখ্য। সাংবাদিকদের মারধর করতেও দেখা গেছে প্রকাশিত কিছু ভিডিওতে। দেখা গেছে সরকারী বাহিনীর হামলায় নিহত হওয়া শিক্ষার্থীর লাশও! কিন্তু, এত কিছুর পরও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়- ছাত্রহত্যা ও ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা পুরোটাই গুজব! সাধারণ মানুষকে এটা বিশ্বাস করানোর নানা পন্থাও তারা অবলম্বন করেছে। প্রথমত, ইন্টারনেট স্পিড বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন থেকে আপডেট নিউজ আসা বন্ধ করার প্রচেষ্টা করেছে। দ্বিতীয়ত, আন্দোলনে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ কাউকে ফটো তুলতে দেখলেই তার উপর ঝাপিয়ে পড়েছে। আর, তৃতীয়ত, বেশিরভাগ সংবাদ মাধ্যমগুলোর সংবাদ পড়লে বুঝা যায় যে- সব দোষ ছিল শিক্ষার্থীদের। আর সরকারের এক খুনি মন্ত্রী তো বলেছে যে, ছাত্ররা আত্মঘাতী বোমা হামলা করেছিল, কেননা তারা প্রথমে হামলা করেছে! চতুর্থত, সরকারের পক্ষ থেকে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে বলা হয় যে- রাজধানীতে ছাত্র হত্যা ও ছাত্রী ধর্ষণের খবর সম্পূর্ণ গুজব!
এখন এই বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে বুঝা যায়, সরকার তো শিক্ষার্থীদের উপর যে অমানবিক নির্যাতন হয়েছে তা স্বীকারই করছে না! উল্টো শিক্ষার্থীদেরকেই শাসাচ্ছে! তাহলে এই নির্যাতিত শিক্ষার্থীরা কার কাছে বিচার প্রার্থনা করবে?! ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ভার নেওয়ার মত কি কেউ আছে?