ফারহানা মিলির কাছে ওবায়দুল কাদেরের ফোন “তুমি আসো – আমি তোমাকেও দেব”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের লাম্পট্য নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা মিলি। দলের নারী নেত্রীদের পদ পদবি নিয়ে শুক্রবার (২ মার্চ) নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফারহানা মিলি। সেখানে সরাসরি ফারহানা মিলি লিখেন, ” রাজনীতি বুঝুক না বুঝুক, সেক্সনীতি বুঝলেই বাপের বয়সী সাধারণ সম্পাদকের কোলে বসে ফুরতি করাটাই রাজনীতিতে পদবী পাওয়ার কাজ দেবে”!
ফারহানা মিলির এই স্ট্যাটাসের পর সোশ্যাল মিডিয়াতেই নয় দেশজুড়ে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এমনকি শেখ হাসিনার কানেও এ কথা পৌঁছে। শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট একটি সূত্রমতে, ঘটনাটি শুনে শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন, এরশাদের মতো এটা ওবায়দুল কাদেরের পুরোনো রোগ । এটা নিয়ে এতো হৈচৈ করার কি আছে। ওবায়েদের কাছে কিছু পায় বলেই মেয়েরা যায়। ওবায়েদ জানে কিভাবে ম্যানেজ করতে হয় “।
সূত্রমতে শেখ হাসিনার এ মন্তব্য ওবায়দুল কাদেরের কানে আসার পর ওবায়দুল কাদের ফারহানা মিলিকে শুক্রবার রাতে ফোন করেন। ফারহানা মিলি ফোন পেয়ে প্রথমে কিছুটা ভড়কে গেলেও ওবায়দুল কাদেরকে বলেন “আপনার সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের কথা বলে দলের কয়েকজন নারী নেত্রী আমাকে হুমকি দিয়েছে”। অভিযোগ শুনে ওবায়দুল কাদের একটু রাগতস্বরে কথা বললে ফারহানা মিলি জানান, তার কাছে এসবের প্রমান আছে। এরপরই ওবায়দুল কাদের সূর নরম করে ফেলেন। ফারহানা মিলিকে বলেন, “তুমি আসো – আমি তোমাকেও দেব” । প্রায় আড়াই মিনিটের কথোপকথনের পর ফারহানা মিলি বলেন তিনি ফেসবুকে তার স্ট্যাটাস পরিবর্তন করলে এটা নিয়ে আরো বাড়াবাড়ি হতে পারে। বরং তিনি তার স্ট্যাটাসের একটি ব্যাখ্যা দেবেন। এতে ওবায়দুল কাদের সম্মতি দিলে ফারহানা মিলি পরদিন শনিবার আরেকটা স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তার স্ট্যাটাস দেননি বরং তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে দিয়েছেন।

You may also like...

Read previous post:
বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে কিছু প্রশ্ন

আর কয়দিন পর বিডিআর বিদ্রোহের ৯ বছর হবে। কিন্তু এতদিনে সুষ্ঠু তদন্ত সম্পন্ন করতে পারেনি আওয়ামীলীগ সরকার। বা এক কথায়...

Close