ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সাদিক ৫৭ ধারায় মামলা করেছে ফাহিম মাশরুরের নামে। গ্রেফতার করে ছেড়েও দিয়েছে। মামলার এজহারে বলা হয় প্রধানমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে পোস্ট দিয়েছে মাশরুর। তবে কাহিনী ওইটা না কাহিনী হইলো মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে লেখা হয়েছে, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে উস্কানিমূলকভাবে মিথ্যা ও আপমানমূলক স্ট্যাটাস ও তথ্য আপলোড করে অপপ্রচারের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ দেশে অরাজক পরিস্থিতি ও অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করার অপরাধ করেছে।”
কোটা সংস্কারের আন্দোলনে যারা সমর্থন দিয়েছেন মোটামুটি তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন।। এই অনুভূতিতে আঘাত পাইয়া হুশ হইয়া মামলা করেন এর আগে বেহুশ অবস্থায় তারা বলেছিলেন আমরা আগে ছাত্র পরে লীগ।।
এই যে কোটা সংস্কার লইয়া সাধারণ ছাত্রের লগে লীগের একটা সাংঘর্ষিক রুপ দিলেন আর সাধারণ মানুষরে হুদাই লীগের বিরুদ্ধে দাঁড় করায়া দিয়া আপনাদের কত লাভ হইছে জানিনা।লাভ হইলে ভালো কিন্তু মিছিলে সামনে দাঁড়ায়া না দেইখা আলাদা হইয়া গাছের উপর থেইকা দেখেন দেখতে পাইবেন সাধারণ জনগনের ভাবনা।।
আপনারা একটা প্রজন্মরে চিনতে ভুল করছেন যারা ভেতরে বঙ্গবন্ধুরে ভালোবাসে,স্বাধীনতার ইতিহাসটা জানে,বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়া যথেষ্ট সচেতন তাঁদের বিশাল এক গোষ্ঠী হয়তো আওয়ামিলীগ করেনা আবার করে তাঁরাও এই সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে ছিল।তাঁদেরকেও আপনারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন, সন্দেহ করেছেন,তাঁরাও বিরক্ত হয়েছে। হয়তো সেই অংশটা চুপ থেকে গেছে দেখা যায়নাই বা আপনারা দেখেন নাই। যতটা দেখছেন এশারে ততটুকু দেখেন নাই সাধারণ ছাত্রীদের দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া আর্তনাদ।।
আপনারা অতি ভক্ত দেখিয়ে নিজেরাই চোর সেজে যাচ্ছেন বার বার