মেয়েদের আপন অঙ্গসমূহ ঠিকঠাক মত আবৃত না করা, ছেলেদের মত খোলামেলা পোশাক পরা, আপন উপস্থিতি সরবে জাহির করা; মোট কথা পুরুষরা প্ররোচিত হয় এমন কোন কাজ করা ইসলামে নিষিদ্ধ, গুনাহের কাজ। চলনে-বলনে, পোশাকে-আশাকে, ইশারা-ইঙ্গিতে এমন কোন কাজ করা যাবে না যা কিনা আল্লার পথচলা একজন মুমিনকে পথচ্যূত করতে পারে। কারণ কামের জয় হয় বেপর্দা নারীর কারণে। অন্যদিকে দ্বীনের হয়ে যেতে পারে পরাজয়, ওই নারীরই কারণে। নারীদের কারণে বেহেস্তের পথ বেঁকে গিয়ে দোজখের পথে রূপান্তরিত যাতে না হয় সেই কারণেই ইসলামে নারীর এই আচরণবিধি। একারণেই কোরানের সূরায় সূরায় পুরুষদেরকে নারীদের চেয়ে উত্তম আর হাদিসে নারীদেরকে শয়তানের সাথে তুলনা করা হয়েছে এবং স্ত্রীকে প্রহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ইসলামে বাধ্য নারীর সদাচরণই সোনার থালায় বেহেস্তি সুখের বীমা!
আল্লার রসূলের কথা অনুযায়ী ছলনাকারী নারীরা আল্লার পথচলা একজন মুমিনকে পথচ্যূত করতে পারে। বুখারী শরীফের খাঁটি বা সেই সহি হাদিসখানি দেখুন এবার, বুখারী ভলিউম ২, বুক ২৪, নম্বর ৫৪১ (বাংলায় দ্বিতীয় খণ্ড, জাকাত অধ্যায়, ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের জাকাত প্রদান করা, হজরত আবুসাঈদ খুদরীর বর্ণিত হাদিসখানি)
হজরত আবু সাঈদ খুদরীর বর্ণনাঃ একবার ঈদুল আযহা অথবা ঈদুল ফিতরের দিন আল্লার রসূল ঈদগাহে গেলেন। নামাজ শেষে তিনি উপস্থিত মানুষদের নসিহত করলেন এবং দান করবার নির্দেশ দিলেন। তিনি বললেন, হে নারী সমাজ! তোমরা দান কর। কারন আমি জেনেছি যে, জাহান্নামের অধিকাংশই হল নারী। নারীরা জানতে চাইলো, হে আল্লাহ্র রসূল; এমন কেন হবে? তিনি বললেন তোমরা অন্যদেরকে খুব বেশী অভিশাপ দাও এবং স্বামীদের প্রতি অকৃতজ্ঞ। হে নারীগন; তোমরা তোমাদের বুদ্ধির অপূর্ণতা ও দীনতা সত্ত্বেও বিচক্ষন ও সচেতন পুরুষের বুদ্ধি হরণকারিণী। তোমাদের মত এমন কাউকে আর দেখিনি।
মেয়েরা হয়ত এখন রেগে গিয়ে বলবেন সহি হাদিস, হাল্কা হাদিস, ভারী হাদিস, অনুবাদে ভুল হাদিস, এটা সেটা নানান কথা। কিন্তু লাভ নেই, এটা এক্কেবারে সহি হাদিস। মেয়েরা হয়ত প্রস্তাব করবেন আগে কোরান মানো তারপর হাদিস, ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই কি? আচ্ছা, অল্প একটুখানি না’হয় ভাঁজ খুলে দেখা যাক ইসলামে নারীদের স্থান।
পুরুষরা যে নারীদের চেয়ে উত্তম আর স্ত্রী পেটানো যে স্বামীদের কোরানী অধিকার, এইবার সেটা দেখুন কোরানের ৪ নম্বর সূরা আন নিসার ৩৪ তম আয়াতেঃ
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।
দেখতেই পাচ্ছেন, কি কারণে পুরুষরা নারীদের ওপরে। তবে এখন নারী যদি স্বামীর অর্থব্যায় না করে নিজেই কামাই করে, ব্যায় করে তা’হলে? তা’হলে যে আবার কোরানকে একটু পাশ কাটানো হয়ে গেল, তাই না? পুরুষের উপর নারী নিজের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করতে গিয়ে আল্লার দেওয়া কোরানের পুরুষ শ্রেষ্ঠত্বকে বেকায়দায় ফেলে দিলো না? এইটা কি গুনাহ? যাই হোক, এখন হয়ত বলবেন এতো গোড়ামীর দরকার কি? বেছে বেছে কোরানের ভালো দিকগুলি মানলেই তো হয়। হাদিস এত কড়াকড়ি ভাবে না মানলে কি হয়? কি হয়? কোরান খুলুন; দেখুন, কোরানের ২ নম্বর সূরা আল বাকারার ৮৫ তম আয়াতেঃ
অতঃপর তোমরাই পরস্পর খুনাখুনি করছ এবং তোমাদেরই একদলকে তাদের দেশ থেকে বহিস্কার করছ। তাদের বিরুদ্ধে পাপ ও অন্যায়ের মাধ্যমে আক্রমণ করছ। আর যদি তারাই কারও বন্দী হয়ে তোমাদের কাছে আসে, তবে বিনিময় নিয়ে তাদের মুক্ত করছ। অথচ তাদের বহিস্কার করাও তোমাদের জন্য অবৈধ। তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস কর এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর? যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে। আল্লাহ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন।
এখনও বলবেন কোরান হাদিস নিজের মত করে মানবেন? আচ্ছা, তা’হলে আবার দেখেন, কোরানের ৪ নম্বর সূরা আন নিসার ৮০ তম আয়াতঃ
যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।
এখন ব্যাপারটা কি এই রকম লাগছে যে রসূলের হুকুম = হাদিস = আল্লার হুকূম = কোরান?
আসল বা সহি হাদিসের সবচেয়ে গ্রহণীয় বইখানির নাম বোখারী শরীফ। ওটা তো বাংলাতেই লেখা আছে। একটু কষ্ট করে পড়ে ফেলুন। মেয়েদের কি অবস্থা ওখানে একটু দেখে আসুন নিজ চোখে। তারপর বলুন, কোনটা ছেড়ে কোনটা মানবেন? আংশিক মেনে অ-মুসলমান হবেন? না’কি আপনার তৈরি ইসলাম মেনে আধুনিক মুসলমান হবেন, না’কি বুদ্ধি করে ধর্মকর্ম ব্যক্তিগত মেনে নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবেন?
আমাদের দেশে যেই ধরনের নারী নির্যাতন হয় তার বেশীরভাগটাই কোরান হাদিস দিয়ে সমর্থিত (এইসব নানান কথা নিয়ে মুক্তমনা লেখকদের প্রচুর লেখা আছে। নীচে লিঙ্ক দিয়ে দিলাম, ওখানে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন)। একাধিক বিবাহ, তালাক, প্রহার, জনসমক্ষে বিচার করে নারীকে জনসমক্ষে শাস্তি ইত্যাদি পাক কিতাব নির্দেশিত। কোনটা মানবেন? ইসলামী আইন নাকি দেশের আইন?
কোরানে লেখা আছে খারাপ কাজের জন্য শাস্তি হবে, দোজখবাস হবে। ভালো কাজের জন্য পাওয়া যাবে পুরষ্কার। ছেলেদের জন্য হুর, কচি কিশোর গেলমান, মদ, যথেচ্ছ যৌনক্রিয়া; গেলমান ও চিরকূমারী মেয়েদের সাথে; যাদেরকে মানুষ কিংবা জীন কেউ আগে হাত লাগায়নি ইত্যাদি ইত্যাদি। একই পুরষ্কার কি মেয়েদের জন্যও? নাহ; এসব পুরষ্কার ছেলেদের জন্যই তো দেখা যাচ্ছে। তা’হলে মেয়েরা? দুনিয়ায় থাকতে মেয়েরা হিজাব নেকাব পরে স্বামীর মার খাবে, চাহিবা মাত্র স্বামীর যৌনক্ষুধা মেটাবে, নামাজ রোযা করবে, অনুমতি ছাড়া ঘরের বাইরে যাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি এইসব মানতে মানতে একদিন আল্লা আল্লা করতে করতে মরে যাবে, কিসের আশায়? বেহেস্ত। বেহেস্তে তারা কি পাবে? সোনার থালায় মনমত খাবার আঙ্গুর বেদানা, হবে হুরীদের সর্দারনী ইত্যাদি। হয়তো মুমিন স্বামীর হাত ধরে ঢুকবে জান্নাতে। স্বামীরা যৌনফুর্তি করবে; সেকেন্ডহ্যান্ড পুরানো স্ত্রী তাকিয়ে তাকিয়ে সর্দারনী-গিরি করবে? ঠিক তাই, কোরানে হাদিসে তো এই রকমই লেখা আছে। অবশ্য এসব তারা পাবে শুধুমাত্র দুনিয়ায় হিজাব নেকাব আদব লেহাজ ঠিক রাখলে। তা না’হলে ফক্কা, দোজখ। হজরত মুহম্মদ তো বলেইছেন যে জাহান্নামের অধিকাংশই হল নারী। ইসলামে নারীদের টাইটের উপর রাখতে হুকুম দেওয়া আছে। আফগানী বস্তা আর বেত্রাঘাতের মত। একটু আগে যা কিছু পড়লেন তা সবই কোরান হাদিসে লেখা আছে। নীচে ওগুলোর সমর্থনে কোরান হাদিস থেকে অল্প কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে দেওয়া হোল। ওখানে দেখবেন নারীদের কিভাবে সম্মানিত করতে হবে তা বলা হয়েছে। নিজে পড়ুন, বুঝুন, বিচার বিবেচনা করে নিজে নিজেই সিদ্ধান্ত নিন দুনিয়ার হিজাবী সূখ অ-সূখ আর হিজাবী মেয়ের বেহেস্তী সূখ সম্বন্ধে।
2:223= কোরানের ২নম্বর সূরা আল বাকারা, আয়াত ২২৩: তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।
2:228= কোরানের ২নম্বর সূরা আল বাকারা, আয়াত ২২৮: আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম অনুযায়ী। কিন্তু নারীরদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ হচ্ছে পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ।
3:14= কোরানের ৩নম্বর সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৪: মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী, সন্তান-সন্ততি, রাশিকৃত স্বর্ণ-রৌপ্য, চিহ্নিত অশ্ব, গবাদি পশুরাজি এবং ক্ষেত-খামারের মত আকর্ষণীয় বস্তুসামগ্রী। এসবই হচ্ছে পার্থিব জীবনের ভোগ্য বস্তু। আল্লাহর নৈকট্যই হলো উত্তম আশ্রয়।
23:5, 6, 7= কোরানের ২৩ নম্বর সূরা আল মূমিনুন, আয়াত ৫ থেকে ৭: এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে; ৬ তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না; ৭ অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।
24:31= কোরানের ২৪ নম্বর সূরা আন-নূর, আয়াত ৩১: ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
বুখারী ভলিউম ৪, বুক ৫৪ , নম্বর ৪৬০ (বুখারী, সৃষ্টির সূচনা অধ্যায়, অভিশপ্ত স্ত্রী) হজরত আবু হুরাইরা বলেন, আল্লার রসূল বলেছেন, যখন কোন লোক তার স্ত্রীকে সঙ্গম করতে বিছানায় ডাকে এবং স্ত্রী আসতে অস্বীকার করে এবং এরপর সেই লোক ক্ষোভ নিয়ে রাত কাটায়, তখন ভোর পর্যন্ত ফেরেস্তাবৃন্দ এমন স্ত্রীর প্রতি লানৎ ও অভিশাপ বর্ষণ করতে থাকে।
বুখারী ভলিউম ৭, বুক ৬২, নম্বর ৩০ (বুখারী) হজরত আবদুল্লা বিন ওমর উল্লেখিত; আল্লার রসূল বলেন, খারাপ সকলই নারী বাড়ী ও ঘোড়াতে।
4:15= কোরানের ৪ নম্বর সূরা আন নিসা, আয়াত ১৫: আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারিণী তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চার জন পুরুষকে সাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন পথ নির্দেশ না করেন।
64:14= কোরানের ৬৪ নম্বর সূরা আত তাগাবুন, আয়াত ১৪: হে মুমিনগণ, তোমাদের কোন কোন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি তোমাদের দুশমন। অতএব তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাক। যদি মার্জনা কর, উপেক্ষা কর, এবং ক্ষমা কর, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুনাময়।
24:2= কোরানের ২৪ নম্বর সূরা আন নূর, আয়াত ২: ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।
2:230= কোরানের ২ নম্বর সূরা, আল বাকারা, আয়াত ২৩০: তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়।
65:4= কোরানের ৬৫ নম্বর সূরা আত ত্বালাক, আয়াত ৪: তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের ঋতুবর্তী হওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে। গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তানপ্রসব পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন।
বুখারী ভলিউম 5, বুক নং 58, হাদিস নম্বর 236 (সহি বুখারিঃ নবী ও সাহাবীদের মর্যাদা অধ্যায়ঃ নয় বছর বয়সে বধূ) : হিশামের পিতা হতে বর্ণিতঃ নবী মদীনা চলে যাওয়ার তিন বছর পুর্বে খাদিজা ইন্তেকাল করেন। সেখানে বছর দুই কাটানোর পর তিনি আয়েশাকে বিয়ে করেন, আয়েশা তখন ছয় বছরের বালিকা মাত্র, এবং আয়েশার বয়স যখন নয় বছর তখন তিনি বিয়েকে পুর্ণাঙ্গ করেন।
ইসলামে নারীদের কিভাবে সম্মানিত করতে হবে তা’র কিছু নমুনা দেখলেন। বোঝা গেল ইসলামে বাধ্য নারীর সদাচরণই বেহেস্তি সুখের বীমা! নারী আচরণ কি হওয়া উচিৎ তা নারীরাই ঠিক করে নিন। ঠিক করে নিন কতটা ছেড়ে কতটুকু মানবেন? বেহিজাবী সেজেগুজে বৈশাখী মেলায় যাবেন নাকি আংশিক ইসলাম মেনে অমুসলমান হবেন? আপনার তৈরি ইসলাম মেনে আধুনিক মুসলমান হবেন? নাকি হবেন মুক্তমনের মানুষ? আপনার ইচ্ছা।