নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম সহ নিহত হয় তিন জঙ্গি। ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটি) সূত্র নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি হামলায় নিহত তামিমের অপর দুই সহযোগীর পরিচয় নিশ্চিত করে। এরমধ্যে একজনের নাম ফজলে রাব্বী, বাড়ি যশোর। অপর জঙ্গির নাম তাওসিফ হোসেন। সে ঢাকার ধানমণ্ডির ১৫ নম্বর (নতুন) সড়কের বাসিন্দা। তার বাবার নাম ডা. আজমল হোসেন। র্যাবের দেওয়া সর্বশেষ নিখোঁজ তালিকায় তাওসিফের নাম ৭ নম্বরে ছিল। সে গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয়। এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানায় ওই দিনই একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ১৪৩) দায়ের করা হয়েছিল।
নিহত জঙ্গি তাওসিফ ম্যাপেল লিফ নামে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল সম্পন্ন করে।তাওসিফ মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলো। ছুটিতে মাঝে মাঝে সে দেশে আসতো। চলতি বছর এমনই এক ছুটিতে দেশে ফিরে আসে তাওসিফ। এবং বিগত ৩ ফেব্রুয়ারি নাস্তা করার কথা বলে সে ধানমণ্ডির বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল।যাব থেকে সর্বশেষ প্রকাশিত নিখোঁজের তালিকার সাত নম্বরে রয়েছে তাওসিফ
নিহত জঙ্গি তাওসিফ
কাকে বাঁচাবার জন্য তামিম চৌধুরীকে অক্ষত ধরা গেলো না? সরকারের ভেতরের-ই কি কেউ মদত দাতা ছিলো? এই প্রশ্ন এখন সবাই-ই করবে। করাই উচিৎ।
নিহত জঙ্গি তামিম চৌধুরী
নারায়নগঞ্জ অপারেশনে আরেক নিহত জঙ্গী ইকবাল। চেহারাতে ড্রাকুলা ভাব প্রবল
এবার জঙ্গি তাহমিদ এর বড় ভাই এর কিছু খবর বলি, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে কয়েকটি। এক নাম্বার হচ্ছে, তাহমিদের ভাই তালহা পুরান পাপী। এই তথ্য আইন শৃংখলাবাহিনী গোপন রেখেছিলো এতদিন। তাহমিদের ভাই তালহা হিজবুত তাহরীর ওয়ান অফ দা সিগনিফিকেন্ট রিক্রুটার ছিলো ধানমন্ডি এলাকার। ১২/এ এর তাকওয়া মসজিদের আশে পাশের সেই সময়ের তালহার বন্ধু বান্ধবদের মাধ্যমে এসব তথ্য জানা যায়। ২০০৪/৫ এর দিকে তালহা’র বাবা ছেলেকে বাঁচাতে নিয়ে যান কানাডা কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তালহা সেই ২০০২ থেকেই হিজবুতী। সুতরাং তাহমিদের ভাই যেখানে হিজু রিক্রুট করে সেখানে তাহমিদের জঙ্গী হবার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যাচ্ছে সকল তথ্য, প্রমাণ ও ছবি বিচার বিশ্লেষন করে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা সত্য উঠে আসার।
হিজবুতী তালহার ছবি। তাহমিদ এর বড় ভাই।