আগস্ট মাসে আওয়ামিলিগারদের ভীমরতি শুরু হয়

দীর্ঘদিন ধরেই বিষয়টা খেয়াল করেছি। প্রতি বছর আগস্ট মাস আসলেই আওয়ামিলিগারদের এক ধরনের ভীমরতিতে ধরে ফেলে। হঠাত করেই তাদের যত শোক বের হয়ে আসে। সব গুলা নেতার বুদ্ধি অসম্ভব পরিমাণে বেড়ে যায়। সবাই একযোগে বল্যতে থাকে কে কে শেখ সাহেবকে হত্যা করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখনকার সময়ের বুদ্ধিমতটার পরিচয় দিয়েছেন শেখ সেলিম, উনি এক নিশ্বাসে সবার নাম বলে যায়, জিয়া, শফি উল্লাহ, মোস্তাক, খালেদ মোশারফ, জাসদ, ন্যাপ; লিস্ট লম্বা হতে থাকে। ১৯৭৫ সালে, এসব বুদ্ধিমানরা সবাই চুপ ছিল;সময়ের সাথে সবার গলা উঁচু হয়ে চলছে। আগামী আগস্টে লিস্টে হয়তো নতুন নাম আসবে।

আমু, হানিফ, তোফায়েল, নাসিম, সবাই বলতে থাকে, লিস্ট দিতে থাকে; গত কিছু আগস্টে মেনন, মতিয়া, ইনু, বাদলরাও এ সময় লিস্ট দেয়া শুরু করেছিল; এ বছর উনারা চুপ; কারণ, হঠাৎ করে, জাসদ, ন্যাপের নাম যুক্ত হয়ে গেছে লিস্টে; তাই উনারা চুপ হয়ে গেছেন; হয়তো আগস্টের পরে উনারা মুখ খুলবেন।

আওয়ামী লীগের সবাই বলে, কে কে শেখ সাহেবকে হত্যা করেছে; তবে, কেহ বলতে চাহে না, পেছনে কি বৃহৎ কারণ ছিল। তারা কারনটা মোটেই বলে না, এর কারণ কি?

শেখ সাহেবকে যারা মেরে থাকুক, সবাইকে পরিচালনা করেছে সিআইএ; আওয়ামী লীগ এ নামটা মুখে আনে না; এবং আও্যামী লীগ জানে যে, একমাত্র “বাকশাল”এর জন্য শেখ সাহেবকে প্রাণ দিতে হয়েছিল।

সিআইএ “বাকশাল” চায়নি, আও্যামী লীগের রাজ্জাক ব্যতিত কেহ “বাকশাল” চাহেনি, আজও চাহে না; তাই তারা শেখ সাহেবের মৃত্যুর পেছনে পাতি মাতিদের নাম আনে, বড় নেতার নাম নেয় না; শেখ সাহেবের মৃত্যুর কারণ ভুলেও মুখ আনে না।

You may also like...

Read previous post:
ইসলাম বনাম প্রকৃতির ভারসাম্য

মানুষের দেহ ভারসাম্যের এক অদ্ভুত সুন্দর দৃষ্টান্ত। এই যে আমাদের দুটো চোখ, দুটো করে হাত, পা, কান, এসব কিছুর কারণেই আমরা...

Close