অনেকবার আমার বিভিন্ন লেখালেখিতে বলেছি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও র্যাব এর পরিচালনায় সারাদেশে কয়েকশ টর্চার সেল রয়েছে। যেখানে দিনের পর দিন আটকে রাখা হয় বন্দিদের। সেই বন্দিরা প্রথমে রহস্যজনকভাবে গুম হয়ে জান। কিছুদিন পর মুক্তিপণ দাবি করা হয়, সেই গুম হয়ে যাওয়া ঘটনা একটি অপহরণ এই ধারনা সেটেল করতে।
উত্তরা, কচুক্ষেত সহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে মাটির নীচে রয়েছে এসব ব্লাকহোল। এমনকি জেলায় জেলায় পুলিশ ও গোয়েন্দরা গোপন সেলে আটক রেখেছে বহু নিরিহ মানুষকে।সেই টর্চার সেল গুলোর বেশিরভাগই হয় মাটির নিচে বা বেসমেন্টে। এই টর্চার সেল গুলোকে বলা হয় “ব্লাকহোল”।
ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, আযমী,কাসেমী সহ সকলকে গুম করে বন্দী করে রাখা হয়েছে ব্লাকহোল। অবৈধভাবে আটকে রাখা এসব ব্যক্তিদের অবলম্বে মুক্তি দাবী করছি। এখনি ছেড়ে দাও। গোপন সেলের গেটগুলা খুলে দাও। জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে ডেকে এনে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হোক।
কি জঘন্য!! কি বর্বর কান্ড!! র্যাব,ডিজিএফআই কর্তৃক অপহরণ,গুম হওয়া মানুষগুলো এখনো হয়ত প্রাণে বেঁচে আছে নির্মম কোন অন্ধকার মাটির নিচের গর্তে।যেখানে সূর্যের আলো কখনো পৌছায় না।শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী ছাড়া পাবার পর থেকে এই গুম রহস্য জনগণের সামনে একটু একটু করে পরিষ্কার হতে শুরু করেছে।
দেশের পরতিটি মানুষের কাছে এখন জিজ্ঞাসা ইলিয়াড আলী,চৌধুরী আলম,ব্রেগেডিয়া আযমী,ব্যারিস্টার কাশেমী এরা তাহলে নিজ মাতৃভূমিতে মাটির নিচের কোন অন্ধকার গুহায় আটকে আছে,না আটকে রাখা হয়েছে!!
প্রিয় দেশপ্রেমিক ভাই ও বোনেরা এখনি আওয়াজ তুলোন,গুম হওয়া অপহরণ হওয়া প্রতিটি নাগরিককে এখনি মুক্তি দিতে হবে।নইলে ১৭ কোটি মানুষ ৫৫৫৯৮ বর্গমাইল বাংলাদেশের মাটি খুড়ে এসব ভাগ্যহত মানুষদের উদ্ধার করবে।