ছবিটা বাংলাদেশের। সাম্প্রতিক ছবি এটা। দেখা যাচ্ছে এক যুবক রাস্তার ধারে ফেলে দেয়া খাবার তুলে খাচ্ছে। পাশেই বাংলাদেশ পুলিশের লোগো ও বাংলায় “পুলিশ” লেখা সহ একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।
এটাই হাসিনার তথাকথিত উন্নয়ন। বাংলাদেশে অবাধ লুটপাট চলছে। আর একদল প্রতারক মাফিয়া জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় অবৈধভাবে বসে থেকে ফ্যাসিস্ট শাসন চালাচ্ছে, এটা সারা দুনিয়ার মানুষ জানে।
আজ থেকে অনেক বছর পরে বলা হবে এটা একটা সাজানো ছবি এবং আওয়ামী লীগ সরকারকে বিপদে ফেলতে এই ছবি তুলে প্রচার করা হয়েছে। ঠিক যেভাবে আজকে বলা হয় ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষের সময় বাসন্তীকে জাল পরিয়ে ছবি তুলে শেখ মুজিব সরকারকে বিপদে ফেলা হয়েছিলো।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রটাকে আওয়ামী লীগ গত দশ বছরে ধ্বংস করেছে। ধ্বংস করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার দোহাই দিয়ে। যেভাবে সকল ফ্যাসিস্ট শাসক তার ক্ষমতা ও দমন পীড়নের বৈধতা দেয়ার জন্য কোন আদর্শ প্রতিষ্ঠার দোহাই দেয়। আওয়ামী লীগকে তার এই ফ্যাসিস্ট মিশনে সাহায্য করেছে বাংলাদেশের আরবান মিডল ক্লাস, বাংলাদেশের অধিকাংশ হিন্দু সম্প্রদায় আর সো-কল্ড কালচারাল এলিট এবং, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, বাংলাদেশের বামপন্থীদের বড় অংশ। বাংলাদেশের সেই বামপন্থীরা হাসিনার পিতা শেখ মুজিবের একদলীয় স্বৈরশাসন বাকশালে নিজেদের দলকে বিলীন করেছিলো।
যারাই আওয়ামী শাসনের সমালোচনা করেছে তাদের সবাইকে এই আওয়ামী সমর্থক গোষ্ঠী ইসলামী জঙ্গিবাদী ট্যাগ দিয়ে নির্মূল করেছে।
আওয়ামী শাসন বাংলাদেশকে ভারতের নয়া উপনিবেশ বানিয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসন দীর্ঘায়িত হলে বাংলাদেশ রাষ্ট্র তার স্বাধীন অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকবে কিনা সন্দেহ।
বাংলাদেশকে বাঁচাতে, বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচাতে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বাঁচাতে সকল দেশপ্রেমিক মানুষের দল মত নির্বিশেষে ঐক্য দরকার। মাতৃভূমিকে ফ্যাসিস্ট দানবের কবল থেকে মুক্ত করা সকল দেশপ্রেমিকের কর্তব্য। সৃষ্টিকর্তা আমাদের এই মহান লড়াইয়ে কামিয়াব হবার তৌফিক দান করুন।