পুলিশ প্রশাসনকে আওয়ামীলীগ সরকার নখের ডগায় রেখেছে তা সবাই জানে। কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে আওয়ামী সোনার ছেলেরা ধরে ধরে কান ফাটাচ্ছে পুলিশের। আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ঘটনাও নতুন কিছু নয়। কিছুদিন দিন আগেই ছাত্র লীগের বীর নেতা বদরুল আলম সিলেটের এম সি কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য দিবালোকে কোপায় ঐ একই কলেজের ছাত্রী খাদিজাকে যিনি এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। শুধু মাত্র আওয়ামীলীগ করে বলেই ধরে ধরে পুলিশ পেটাচ্ছে আর কান ফাটিয়ে জখম করছের এই অমাউষের বাচ্চারা। এই দেশের উপর যেমন জন্তুর মত চেপে রয়েছে এই বাকশালী সরকার, ঠিক তাদের নেতানেত্রীরা যেন বাগে পেলেই খুন করতে চাইছে এই দেশের সাধারণ মানুষ থেকে সবাইকে। পুলিশও আজ নিরাপদ নয় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে।
সম্প্রতি জানা যায়, শরীয়তপুরে ছাত্রলীগ নেতার চড়ে এক পুলিশ সদস্যের কানের পর্দা ফেটে গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই পুলিশ সদস্যের নাম সেলিম মাতুব্বর।অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম আক্তার হোসেন। তিনি শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি বলে পত্রিকার মাধ্যমে জানা গেছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আক্তার হোসেন ও তাঁর মামা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক দেবাশীষ সাহার কাছে অন্য একজন রোগীর আঘাতের চিকিৎসাজনিত সনদ চান। জবাবে চিকিৎসক দেবাশীষ সাহা রোগীর অনুপস্থিতিতে সনদ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তখন আক্তার হোসেন দেবাশীষ সাহাকে নানাভাবে অপদস্থ করতে থাকেন। এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত পুলিশের নায়েক সেলিম মাতুব্বর এর প্রতিবাদ জানালে আক্তার উত্তেজিত হয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে চড় দেন এবং মারধর করতে থাকেন। আক্তারের চড়ে সেলিমের ডান কানের পর্দা ফেটে গেলে উপস্থিত সবাই তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। বর্তমানে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু ডিউটি চলাকালীন সময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশের কোন কর্মকর্তার ওপর শারীরিক আঘাত করলে এটি একটি দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হয়। কিন্তু যেহেতু আক্তার ছাত্রলীগ করেন, তাই তার বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দটুকুও করেনি। বরং মামা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদারের বদৌলতে পালিয়ে গেছেন আক্তার। তিনি বর্তমানে পলাতক আছেন।